Type Here to Get Search Results !

গাড়ির ইঞ্জিন কত প্রকার হয়ে থাকে |

 



গাড়ির ইঞ্জিন কত প্রকার হয়ে থাকে |

 ‎‎ ‎‎ ‎

গাড়ির ইঞ্জিন হলো যেকোনো যানবাহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইঞ্জিনের মাধ্যমেই জ্বালানির শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং গাড়ি চলাচল করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে, যা জ্বালানি, কর্মক্ষমতা ও পরিবেশবান্ধব দিক বিবেচনা করে আলাদা করা যায়। এই লেখায় সহজ ভাষায় গাড়ির ইঞ্জিন কত প্রকার এবং সেগুলোর কাজ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 ‎‎ ‎‎ ‎

১. পেট্রোল ইঞ্জিন

পেট্রোল ইঞ্জিন সবচেয়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত ইঞ্জিনের একটি। এই ইঞ্জিনে পেট্রোল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় এবং স্পার্ক প্লাগের মাধ্যমে আগুন জ্বলে শক্তি উৎপন্ন করে। পেট্রোল ইঞ্জিন সাধারণত কম শব্দ করে, দ্রুত স্টার্ট নেয় এবং হালকা গাড়ির জন্য উপযোগী। শহরের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এই ইঞ্জিন খুব জনপ্রিয়।

 ‎‎ ‎‎‎‎

২. ডিজেল ইঞ্জিন

ডিজেল ইঞ্জিন মূলত বেশি শক্তিশালী এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী। এই ইঞ্জিনে ডিজেল জ্বালানি ব্যবহার হয় এবং স্পার্ক প্লাগের প্রয়োজন হয় না। উচ্চ চাপের মাধ্যমে জ্বালানি জ্বলে ওঠে। ভারী যানবাহন, পিকআপ, ট্রাক ও লং-ড্রাইভ গাড়িতে ডিজেল ইঞ্জিন বেশি ব্যবহৃত হয়।

 ‎‎ ‎‎ ‎

৩. সিএনজি ইঞ্জিন

সিএনজি ইঞ্জিনে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি পরিবেশবান্ধব এবং খরচ তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশে সিএনজি ইঞ্জিন খুব জনপ্রিয়, কারণ এটি পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় কম দূষণ সৃষ্টি করে এবং সাশ্রয়ী।

 ‎‎ ‎‎ ‎

৪. হাইব্রিড ইঞ্জিন

হাইব্রিড ইঞ্জিনে দুটি শক্তির উৎস থাকে—একটি পেট্রোল বা ডিজেল ইঞ্জিন এবং অন্যটি বৈদ্যুতিক মোটর। এই ইঞ্জিন জ্বালানি সাশ্রয় করে এবং কার্বন নিঃসরণ কমায়। আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর গাড়িতে হাইব্রিড ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।

 ‎‎ ‎‎ ‎

৫. ইলেকট্রিক ইঞ্জিন

ইলেকট্রিক গাড়িতে কোনো প্রচলিত ইঞ্জিন নেই; বরং শক্তিশালী বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করা হয়। ব্যাটারিতে চার্জ সংরক্ষণ করে গাড়ি চালানো হয়। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এবং ভবিষ্যতের গাড়ির প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত।

 ‎‎ ‎‎ ‎‎

৬. ইঞ্জিনের গঠন অনুযায়ী প্রকার

গঠনের দিক থেকে ইঞ্জিনকে ইনলাইন ইঞ্জিন, ভি-টাইপ ইঞ্জিন এবং বক্সার ইঞ্জিনে ভাগ করা যায়। প্রতিটির নিজস্ব কার্যক্ষমতা ও ব্যবহার ক্ষেত্র রয়েছে।

 ‎‎ ‎‎

গাড়ির ইঞ্জিন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে এবং প্রতিটি ইঞ্জিনের ব্যবহার আলাদা উদ্দেশ্যে করা হয়। সঠিক ইঞ্জিন নির্বাচন করলে গাড়ির কর্মক্ষমতা, জ্বালানি খরচ ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়। তাই গাড়ি কেনার আগে ইঞ্জিনের ধরন সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।

 ‎‎ ‎‎